,

কাশিয়ানীতে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে কেবল ব্যবসা

কাশিয়ানীতে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে কেবল ব্যবসা

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে লাইসেন্সবিহীন অবৈধভাবে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পুইশুর ইউনিয়নের দেবাশুর এলাকায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে নাম সর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠান এ ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অবৈধভাবে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা পরিচালনা করে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার পুইশুর ইউনিয়নের দেবাশুর গ্রামের প্রভাবশালী আলম মোল্যা ও তারিকুল আজিজ সাদ্দাম দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে কোন ধরনের বৈধতা না নিয়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। যা কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক কার্যক্রম পরিচালনা আইন ২০০৬ এবং লাইসেন্স বিধিমালা ২০১০ পরিপন্থী।

এ অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় বৈধ (বিটিভি লাইসেন্স নং এফও-০২৫, রেজি. নং ১৩৯৫) ব্যবসায়ী নুর ইসলাম সিকদার বাদী হয়ে তৎকালীন কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, এস, এম মাঈন উদ্দিন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ জুলাই ইউএনও উভয়পক্ষকে সকল বৈধ কাগজপত্রসহ তাঁর কার্যালয়ে শুনানীর জন্য ডাকেন। এ সময় কেবল ব্যবসায়ী নুর ইসলাম সিকদার তার ব্যবসার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলেও অভিযুক্তরা তা দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুই সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্তদের ব্যবসা তুলে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু সে নির্দেশ উপেক্ষা করে বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যান তারা। পুনরায় চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য উভয়পক্ষকে ডেকে একই নির্দেশ দেন ইউএনও। এতে অবৈধ ব্যবসায়ীরা এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের ব্যবসা তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ইউএনও’র নির্দেশ অমান্য করে এখনও অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন।

এদিকে, বৈধ ব্যবসায়ী নুর ইসলাম সিকদার বাদী হয়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত নোটিশ জারি করে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে দরখাস্তের জবাব দিতে এবং ওই আদেশের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আলম মোল্যা ও সাদ্দামের ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন। কিন্তু অভিযুক্তরা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে পেশিশক্তির জোরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় বৈধ ব্যবসায়ী নুর ইসলাম সিকদার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে আলম মোল্যার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা আমাদের বৈধতা নিয়ে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা পরিচালনা করছি।’

কাশিয়ানী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘কেউ নিয়ম ভঙ্গ করে অবৈধভাবে কেবল ব্যবসা করলে তাদেও বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর